স্টাফ রিপোর্ট।
আপনি করেন, আমি ৩টা নাম দিলাম ওইটা করেন, এখন ডিসিটা তো করা যাচ্ছে না। ডিসিটা চেঞ্জ হওয়ার আগ পর্যন্ত করতে পারতেছি না, এই মাসের ভেতর চেঞ্জ হবে, আমাকে আপনি সুযোগ দেন।’
রেল ভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের (ডিজি) একান্ত সচিবের কক্ষে অপেক্ষমাণ এনসিপির সংগঠক (হবিগঞ্জ) নাহিদ উদ্দিন তারেক ফোনে এসব কথা বলছিলেন।
এনসিপির সংগঠক (হবিগঞ্জ) নাহিদ উদ্দিন তারেকের কথোপকথনের এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা সমালোচনা।
ওই ভিডিও নাহিদ উদ্দিন তারেকের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বদরুননেছা কলেজ শাখার সমন্বয়ক সিনথিয়া জাহিন আয়েশাকেও বসে থাকতে দেখা গেছে।
বিশিষ্ট অনুসন্ধানী অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানিয়েছেন, নাহিদ উদ্দিন তারেক ও সিনথিয়া জাহিন আয়েশার পর ওই কক্ষে উপস্থিত হন এনসিপির অন্য এক নেতা মাহিন সরকার।
জুলকারনাইন সায়ের প্রশ্ন করেন, রেল ভবনে রেলওয়ের মহাপরিচালকের সঙ্গে তাদের কী কাজ থাকতে পারে? আর ফোনে কার নাম আর ডিসি পরিবর্তনের কথা আলোচনা করছিলেন এনসিপির সংগঠক নাহিদ উদ্দিন তারেক?
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা শুরু করেন অনেকেই।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি এ ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘রেলের ডিজির একান্ত সচিবের রুমে বসে এনসিপির নেতা নাহিদ উদ্দিন তারেক ও তার এক সহযোগী সিনথিয়া আয়েশাকে জুলাই বেঁচতে দেখলাম।
তিনি আরও বলেন, ‘এদিকে ১০ মাস পরেও জুলাইয়ে হাত, পা ও চোখ হারানো ভাইগুলো চিকিৎসা না পেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র-জনতার মাথা বেঁচে এরা যেই বৈষম্যমূলক জঘন্য কাজে লিপ্ত হলো, এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে চাই।’
এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি পাওয়া এ বি এম গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুদক থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গাজী সালাউদ্দীন তানভীরের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, তদবির বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্যসহ দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে নামে বেনামে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসব অভিযোগ অনুসন্ধান করার জন্য দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসানকে দায়িত্ব দিয়েছে কমিশন।
অনুসন্ধান শেষ করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ ও দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ অনুসরণপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
অনুসন্ধানের সময় কোনো ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধকরণ অথবা কোনো সম্পদ বা সম্পত্তি ক্রোক করা হলে তা অনতিবিলম্বে লিখিতভাবে সে শাখাকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করেছে দুদক।