1. live@bisshosangbad.com : বিশ্ব সংবাদ : বিশ্ব সংবাদ
  2. info@www.bisshosangbad.com : বিশ্ব সংবাদ :
রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০১:৪১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ভারত-পাকিস্তান। ভারতজুড়ে ব্যাপক হামলা পাকিস্তানের, বহু সামরিক স্থাপনায় আঘাতের দাবি। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বেশি দিন চললে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টানা ১৯ দিন ছুটি। ভারতে জরুরি অবস্থা জারির নির্দেশ, সন্ধ্যা হতেই পাকিস্তানের গোলাবর্ষণ শুরু। আবদুল হামিদের দেশত্যাগ, কিশোরগঞ্জের এসপি প্রত্যাহার, তিন পুলিশ প্রত্যাহার-বরখাস্ত, তদন্ত কমিটি গঠন। আওয়ামী লীগ নেতাকে লাঠিপেটার ভিডিও ভাইরাল। ১৫ স্থাপনায় পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আকাশেই ধ্বংসের দাবি ভারতের। ইসরায়েলের তৈরি ড্রোন ব্যবহার করছে ভারত, ২৫টি ভূপাতিত করল পাকিস্তান, লাহোরে কর্মীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে মার্কিন কনস্যুলেট। আবদুল হামিদের দেশত্যাগ, ক্ষোভ ঝাড়লেন হাসনাত।

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বেশি দিন চললে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ।

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১০ মে, ২০২৫
  • ৩৩ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্ট।

দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, ইতিহাস যুদ্ধ করে না। যুদ্ধ করে রাজনৈতিক নেতৃত্ব। কিন্তু ইতিহাসের দরকার আছে।ইতিহাসকে বাদ দেওয়া যাবে না। নতুন ইতিহাস লিখতে হলে পুরোনো ইতিহাসকে মুছে ফেলা যায় না। এ ইতিহাসের রাজনৈতিক দিক হচ্ছে… ভারতীয় গণমাধ্যমেই দেখেছি যে, ভারতে সামনে দুটা নির্বাচন আছে। বিহার ও পশ্চিববঙ্গে। দুটাই রাজনৈতিক দিক থেকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য চ্যালেঞ্জ। এ যুদ্ধ পাকিস্তানকেও রক্ষা করতে পারে। পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতারা কিন্তু নির্বাচিত নন। ইমরান খান এখন জেলে। তার এ যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ইমরান খানের রাজনৈতিক নেতৃত্ববৃন্দেরও ফয়সালা হয়ে যাচ্ছে। সেনাবাহিনী সামনের কাতারে চলে আসছে। পাকিস্তানের জনগণ এখন কী বলবে? তারা বলবে দেশ রক্ষা করেছে আমাদের সেনাবাহিনী। সেই কারণে দুই দিকেই রাজনৈতিক-ঐতিহাসিক কারণ রয়েছে। রাজনীতি বাদ দিয়ে ঐতিহাসিক কারণ লেখা যাবে না। আর ইতিহাস লিখতে হলে রাজনীতি লিখতে হবে।
মানবজমিন প্রধান সম্পাদক বলেন, এবারের যুদ্ধের দুটো দিক। ভুয়া সংবাদ অন্যতম। আরেকটা হচ্ছে এআই। এ যুদ্ধে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে বেশি। কারণ আমাদের কোনো একটা বক্তব্য কোনো একটা সিদ্ধান্ত স্পর্শকাতর কোনো বিষয়ের দিকে নিয়ে যেতে পারে। যেটা আমরা আশা করি না। আমরা আশা করি যে, আমরা সতর্ক থাকবো। পুশইন চলছে। পুশইনকে বাধা দিতে গিয়ে আমরা এমন কোনো কাণ্ড না ঘটাই যেটা সামাল দিতে পারব না।

তিনি শনিবার ১০ মে রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কারণ নিয়ে ছায়া সংসদ বিতর্ক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

এ প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা, সংসদ সদস্য প্রার্থী, বিশ্লেষক, ছাত্রদলের এক সময়ের কেন্দ্রীয় নেতা, ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের বীর সেনানী, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জননেতা মাহবুব চৌধুরী এই প্রতিবেদককে বলেন, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতি বজায় থাকলে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর বিশাল প্রভাব পড়বে। আমাদের আমদানি রপ্তানী ব্যাহত হবে, সাপ্লাই চেইন নষ্ট হবে, পুঁজিবাজারে অস্থিতিশীলতা দেখা দিবে, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান থেকে আমদানীকৃত পণ্যের মূল্য বাড়বে, ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করার জন্য সময় এবং বিমান ভাড়া দুটোই বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও প্রতিবেশীর ঘরে আগুন লাগলে সেই আগুনের উত্তাপ নিজের গায়েও লাগবে।
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্যোগ নিতে হবে। এই যুদ্ধ শুধুমাত্র ভারত বা পাকিস্তানের ক্ষতি করবেনা। উভয় দেশই যেহেতু পরাশক্তিসম্পন্ন, সুতরাং যুদ্ধের কারণে পুরো পৃথিবী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো যুদ্ধে জড়াতে না চাইলেও, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সুতরাং জাতিসংঘ, আমেরিকা, চীন যদি মধ্যস্থতা করে এই চলমান দ্বন্দ্ব বন্ধ না করে তাহলে পৃথিবী বহু বছর পিছিয়ে যাবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ও জনগণের নিরাপত্তা প্রদানে সশস্ত্রবাহিনীকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি। কোন পক্ষ বিপক্ষ নয়, দেশকে ভারত-পাকিস্থানের চলমান দ্বন্দ্ব ও আক্রমণের প্রভাব থেকে রক্ষা করাই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা কোন যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ভারত অধ্যুষিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু যেমন দুঃখজনক, তেমনই ভারতের হামলায় পাকিস্তানের বেছে বেছে মসজিদ ধ্বংস করাসহ ৩২ জন বেসামরিক নাগরিক হত্যা করার যে অভিযোগ উঠেছে তাও দুঃখজনক। পেহেলগাম হামলায় নিহতের ঘটনায় ভারত পাকিস্তানেকে দায়ী করেছে। তবে পাকিস্তান এ অভিযোগকে অস্বীকার করে ভারতের সাজানো নাটক বলে দাবি করেছে। ভারত বিশেষ ফায়দা অর্জনের জন্য এই ধরণের নাটক সাজিয়েছে বলে পাকিস্তানের দাবি।
৬ মে মধ্যরাতে পাকিস্তানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় যে সকল মসজিদ ধ্বংস হয়েছে সেই সব মসজিদেই ঐদিন পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে ফজরের নামাজ আদায় করেছেন স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। পালিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে ব্লাক আউটের মধ্যেই সংহতি প্রকাশের জন্য ফজরের ওয়াক্তে একত্র হয়েছিল পুরো এলাকার বাসিন্দারা। এ পরিস্থিতিতে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধকে কোনো উসকানিতে মুসলিম-হিন্দুর যুদ্ধ হিসেবে বিদ্বেষ ছড়ানো যাবে না। তবে বিজেপি সরকার কর্তৃক ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করে ভারতীয় মুসলমানদের স্বস্তি প্রদান করা উচিত। তাই এই দুই দেশে অবস্থানকারী মুসলমান ও হিন্দুরা যার যার অবস্থান থেকে ধর্মীয় উত্তেজনা পরিহার করে এ যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর ভূমিকা পালন করা উচিত।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট