স্টাফ রিপোর্ট।
ময়মনসিংহে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠানকে লাঠিপেটার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায় এক অজ্ঞাত যুবক তার হাত ধরে রেখেছেন। এ সময় মাক্স পড়া অপর এক যুবক তাকে লাঠিপেটা করছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকাল থেকেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এতে নেটিজেনরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একজন প্রবীণ রাজনীতিককে এভাবে হেয় করা ঠিক হয়নি।
অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের দুইবারের সাবেক চেয়ারম্যান। এর আগে তিনি নান্দাইলে একটি কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে জেলা যুবলীগের সভাপতি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, লাঠিপেটার ভিডিওটি ঢাকা গুলশান এলাকার। দুই সপ্তাহ আগে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের কাছে এই আওয়ামী লীগ নেতার পরিচয় প্রকাশ হলে তারা তাকে আটক করে। এ সময় তাকে লাঠিপেটা করে মধ্যস্থতার মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ঘটনার সত্যতার বিষয়ে দায়িত্বশীল কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
নগরীর মহারাজা রোড এলাকার বাসিন্দারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন। এরপর থেকে এলাকায় তার উপস্থিতি দেখা যায়নি। এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম খান বলেন, এই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। বর্তমানে তিনি পলাতক।