1. live@bisshosangbad.com : বিশ্ব সংবাদ : বিশ্ব সংবাদ
  2. info@www.bisshosangbad.com : বিশ্ব সংবাদ :
রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ১০:১১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
পিআর পদ্ধতির সংসদ সংকট বাড়াবে। বিশিষ্ট জনের মত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোটের লড়াইয়ে জুলাই যোদ্ধারা। সিলেটের সাদাপাথর চুরির সঙ্গে জড়িত বিএনপি জামায়াতের নেতা সহ ৪২ জন। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সরকারকে সহযোগিতায় প্রস্তুত সেনাবাহিনী। বিদেশে পাচার হওয়া ৪০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির সন্ধান। ট্রাম্প-পুতিনের যৌথ সংবাদ সম্মেলন: ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চুক্তি না হলেও গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। গ্রাহকের ব্যাংক হিসাব থেকে ৮৭ লাখ টাকা তুলে নিলো কে, জানে না কেউ! রাঙ্গামাটির লংগদুতে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ালো “আলোর ফাউন্ডেশন। বেকারত্বে বন্দি তরুণ প্রজন্ম। বিশিষ্ট জনের কারন বিশ্লেষণ। পুলিশের ৯ পরিদর্শককে জনস্বার্থে অবসরে পাঠানো হচ্ছে।

পিআর পদ্ধতির সংসদ সংকট বাড়াবে। বিশিষ্ট জনের মত।

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫
  • ৩২ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্ট।

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) ব্যবস্থায় বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। তবে অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতি উন্নত না হওয়ায় এই সিস্টেম বা ব্যবস্থায় সংকটও তৈরি হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে সরকার গঠনে জটিলতা তৈরি হয় বেশি। ফলে সরকারের স্থায়িত্বও কম হয়। কোনো দল সাধারণ ইস্যুতেও সমর্থন তুলে নিলে ভেঙে যায় সরকার। এ কারণে বারবার নির্বাচনের আয়োজন করতে হয়। প্রতিটা ভোটের মূল্যায়ন নিশ্চিতের জন্য এই পদ্ধতি গ্রহণ করা হলেও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে এর ফলাফল উল্টো হয়।

বাংলাদেশে পিআর ইস্যু নিয়ে আবারও সরগরম রাজনীতি। গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি এই ইস্যুতে ভিন্নমত পোষণ করছে। বিএনপি পিআর সিস্টেমের বিপক্ষে। অন্যদিকে জামায়াত ও এনসিপি উচ্চকক্ষের পাশাপাশি নিম্নকক্ষেও এই পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে। অন্যথায় রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। নিম্নকক্ষেও পিআর পদ্ধতি চালু হলে বাংলাদেশেও সংকট তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মুজমদার বলেন, ‘সংখ্যানুপাতিক ও আসনভিত্তিক উভয় পদ্ধতিরই ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক রয়েছে। তাই নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে উভয় পদ্ধতির ইতিবাচক-নেতিবাচক দিক বিবেচনা করে নিম্নকক্ষে আমরা আসনভিত্তিক পদ্ধতির প্রস্তাব করেছি এবং উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির সুপারিশ করেছি।

বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি অনেক জটিল। জনগণকে বোঝানো কঠিন। নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষের সম্পর্ক কী হবে এসব বিবেচনায় নিতে হবে। নিম্নকক্ষ কোনো আইন পাস করলে সেটি কি উচ্চকক্ষ বাতিল করতে পারবে? বাতিল না করে তাদেরও যদি ইয়েস বলতে হয়, তাহলে উচ্চকক্ষ থেকে লাভ কী? নিম্নকক্ষের কাজ কী হবে এবং উচ্চকক্ষের কাজ কী হবে, দুটি কক্ষের কাজ যদি একই হয়; কার সিদ্ধান্ত প্রাধান্য পাবে, এগুলো জটিল বিষয়। পিআরের ভিত্তিতে গঠিত উচ্চকক্ষে যদি বিরোধ হয় তখন কী হবে, জটিল প্রশ্ন আছে। বেলজিয়ামে ২০ বছর লেগেছে এসবের ফয়সালা করতে। পিআর পদ্ধতি অনেক রকমের হতে পারে। দেশের জন্য কোনটা উপযোগী হবে, পর্যালোচনা করতেই অন্তত ১০ বছর সময় লাগবে।

বিশ্লেষক, সংসদ সদস্য প্রার্থী, বিএনপি নেতা মাহবুব চৌধুরী বলেন, দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ভৌগোলিক বাস্তবতার সঙ্গে নির্বাচন পদ্ধতি খাপ খাইয়ে নির্ধারণ করা উচিৎ। বাংলাদেশের সংসদের জন্য প্রযোজ্য হয় না। ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখার পেছনেও কাজ করছে পিআর পদ্ধতি। সংসদে ক্ষুদ্র ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব থাকায় তারা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলমান রাখার জন্য চাপ তৈরি করছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ নেপালেও একই ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। কম সময়ে একাধিক প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে দেশটি। তার মানে হলো, সরকারের স্থিতিশীলতা খুবই কম। ঘন ঘন সরকার পরিবর্তন, মন্ত্রিপদ নিয়ে দর-কষাকষি এবং পিআর তালিকা তৈরিতে দলীয় নেতৃত্বের প্রভাব জনগণের আস্থা নষ্ট করছে। এ ছাড়াও ইতালি, জার্মানি, স্পেন, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশে পিআর পদ্ধতির কারণে নানা সময়ে অস্থিরতা লক্ষ করছি।

বর্তমানে বাংলাদেশে নির্বাচনে যে প্রার্থী সর্বোচ্চ ভোট পান তিনি নির্বাচিত হন, যা ‘ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট’ বা এফপিটিপি মডেল নামে পরিচিত। আর পিআর পদ্ধতি তার থেকে আলাদা। এখানে প্রার্থীর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দল। ভোটাররা ভোট দেন দলীয় প্রতীকে। আসনভিত্তিক কোনো প্রার্থী থাকে না। যে দল যত ভোট পাবে, সেই অনুসারে সংসদের আসন নির্ধারিত হবে। এই পদ্ধতি অনেকটা অন্তর্ভুক্তিমূলক। সংখ্যালঘুরাও প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পান। কিন্তু এই পদ্ধতির কারণে বহু ক্ষুদ্র রাজনৈতিক দল জন্ম নেয়, যারা প্রায়ই নির্দিষ্ট পরিচয়, স্বার্থ বা আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে গড়ে উঠতে পারে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৯০টি গণতান্ত্রিক দেশ বিভিন্ন ফরম্যাটে পিআর পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। উন্নত দেশগুলোতে এটি সংকট তৈরি না করলেও ইসরায়েল, নেপাল, ইতালি, জার্মানি, স্পেন, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশে পিআর পদ্ধতির কারণে নানা সময়ে অস্থিরতা লক্ষ করা গেছে।

জার্নালের তথ্য অনুযায়ী, পিআর পদ্ধতির কারণে বেশি অস্থরিতা দেখা যায় ইসরাইলে। দেশটিতে পুরো দেশকে একক নির্বাচনি এলাকা হিসেবে ধরা হয়। যেকোনো রাজনৈতিক দল যদি ৩ দশমিক ২৫ ভাগ ভোট পায় তাহলে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পায়। এ কারণে কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠন করতে পারে না। ফলে কোয়ালিশন বা জোটগত সরকার গঠন করা হয়। মতভিন্নতার কারণে সরকার প্রায়ই ভেঙে যায়। রয়টার্সের ৩০ অক্টোবর, ২০২২ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশটিতে পাঁচবার জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ কারণে দেশটিতে স্থায়ীভাবে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট