স্টাফ রিপোর্ট।

ভারতের কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেছেন, যখন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একটি পুরো জাতিকেি ধ্বংস করছেন, তখন ভারত শুধু নীরব সমর্থক নয়, বরং ইসরায়েলের ইরানে হামলা এবং দেশটির শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যার ঘটনায় ইসরায়েলকে উৎসাহিত করছে। তার মতে, এটি একটি দেশের সার্বভৌমত্বের চরম লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক নীতিমালার সম্পূর্ণ বিরোধী।

প্রিয়াঙ্কা উল্লেখ করেন, গাজায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার মানুষ নিহত, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। একটি গোটা জনসংখ্যাকে অবরুদ্ধ করে অনাহারে মারা হচ্ছে, অথচ আমরা কোনও অবস্থান নিচ্ছি না এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।

প্রিয়াঙ্কার মতে, অতীতে ভারত বারবার ন্যায়ের পক্ষে সাহসিকতা দেখিয়েছে এবং আজকের বিভক্ত বিশ্বে ভারতের উচিত মানবতার পক্ষে আওয়াজ তোলা, সত্য ও অহিংসার পক্ষে নির্ভয়ে দাঁড়ানো।

১৪ জুন এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ দেয়া পোস্টে প্রিয়াঙ্কা বলেন, প্রকৃত আন্তর্জাতিক নেতৃত্বের জন্য ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোর সাহস দরকার।

দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসন, জাতিগত নিধন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি নেতা, সংসদ সদস্য প্রার্থী, বিশ্লেষক, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রাত্তন কেন্দ্রীয় নেতা, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জননেতা মাহবুব চৌধুরী।

চৌধুরী বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা বারবার ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অবৈধ বসতি নির্মাণের নিন্দা জানালেও, কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। মুসলিম বিশ্বের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় গঠিত ওআইসি, আরবলীগসহ মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর ব্যর্থতা আগামীতে নতুন সংকট তৈরি করতে পারে। ইরান ও ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসন আন্তর্জাতিক আইন, মানবতা ও মুসলিম বিশ্বের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে সরাসরি হুমকি।

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হচ্ছে ফিলিস্তিনের গাজায়। সাধারণ মানুষকে হামলা করে গণহত্যা চালাচ্ছে। নিরীহ মানুষ, স্কুল-কলেজ-হাসপাতালে হামলা করে যাচ্ছে। সাংবাদিক ও চিকিৎসকদের হত্যা করা হচ্ছে। আর এখন ইরানে হচ্ছে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা মুসলিম উম্মাহর ঈমানি দায়িত্ব বলে মনে করেন বিএনপির এই নেতা।