স্টাফ রিপোর্ট।
সাক্ষ্যপ্রমাণ পর্যালোচনা ছাড়াই জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন আপিল বিভাগ। রায়ের পর্যবেক্ষণ সর্বোচ্চ আদালত বলেছেন, ‘বিচারের নামে অবিচার করা হয়েছিল।’
আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আজহারের খালাসের রায় ঘোষণা করেন।
পরে জামায়াতের আইনজীবী শিশির মনির গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সত্য জয়ী হয়েছে, মিথ্যা পরাজিত হয়েছে। এ রায়ের মাধ্যমে ইনজাস্টিসের অবসান হয়েছে।’
এদিকে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জামায়াত নেতা ডা. আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
প্রসঙ্গত,মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন আজহার।
শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। পরে রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন জামায়াত নেতা।
এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় সাত বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায়ে খালাস পেয়েছেন সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমান।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তারিক এজাজ খালাসের এ রায় ঘোষণাকরেন।রায় ঘোষণার সময় শফিক রেহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
খালাসের বিষয়টি আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মাহমুদুর রহমানও খালাস পান।
এর আগে গত ২৭ এপ্রিল শফিক রেহমানের সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শেষ হয়। সেদিন শফিক রেহমানের পক্ষে সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ শুনানি করেন।ওইদিন মামলাকে মিথ্যা হয়রানিমূলক উল্লেখ করে খালাসের প্রার্থনা করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার তৎকালীন অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাংবাদিক শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনকে পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।