1. live@bisshosangbad.com : বিশ্ব সংবাদ : বিশ্ব সংবাদ
  2. info@www.bisshosangbad.com : বিশ্ব সংবাদ :
বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ১১:৩২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
সাবেক ১৩ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক। সংস্কারের বাজেট, এডিপি ১০ মাসে বাস্তবায়ন মাত্র ৪১শতাংশ, বিশিষ্ট জনের মত। আওয়ামী দোসর আমলাদের তালিকা প্রকাশ। স্ত্রীসহ বিজিবির সাবেক ডিজির ৮ ব্যাংক হিসাব ও রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের সম্পদ অবরুদ্ধের আদেশ। চোরতন্ত্রের আমলারা আবার উজ্জীবিত। মাদারগঞ্জে জামায়াত দুই নেতার গলায় জুতার মালা দিলো স্থানীয়রা। ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি বিভিন্ন পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা। নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে বরখাস্ত সেনাসদস্য সহ গ্রেপ্তার ৩. সিলেট বিএনপিতে আরিফ মুকতাদির কোন্দল চরমে, সংঘর্ষের আশংকা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর : রাষ্ট্রের মুখোশে ব্যক্তিগত স্বার্থ?

সংস্কারের বাজেট, এডিপি ১০ মাসে বাস্তবায়ন মাত্র ৪১শতাংশ, বিশিষ্ট জনের মত।

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২১ মে, ২০২৫
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্ট।

অর্থনৈতিক চাপ, মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক সহায়তার কঠোর শর্ত এবং রাজস্ব ঘাটতির বাস্তবতায় আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ব্যতিক্রমী হতে যাচ্ছে। ভোটের আগে উচ্চাভিলাষী ব্যয়ের বদলে এবার জোর দেওয়া হচ্ছে সংযম, কাঠামোগত সংস্কার এবং জনকল্যাণে কার্যকর বরাদ্দে। জনগণের জীবনমান উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, রাজস্ব শৃঙ্খলা ও বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টিতে জোর দেওয়া হচ্ছে বাজেটে।

অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আগামী বাজেট হবে একটি ‘দায়িত্বশীল, নির্বাচন-পূর্ব বাস্তববাদী বাজেট’। অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই বাজেট হবে বাস্তবভিত্তিক, বাস্তবায়নযোগ্য এবং সুশাসন ও বৈষম্য কমাতে সহায়ক।’ সর্বশেষ খসড়া অনুযায়ী, আগামী বাজেটের আকার নির্ধারিত হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। স্বাধীনতার পর এই প্রথম বাজেটের আকার আগের অর্থবছরের তুলনায় কমেছে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু বাজেট ঘোষণার মাত্র ৬৫ দিনের মাথায় গণ-আন্দোলনের মুখে সেই সরকারের পতন ঘটে এবং অন্তর্বর্তী দায়িত্ব নেয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার।

এদিকে চলতি অর্থবছরের মূল এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ পুনর্নির্ধারণ করা হয় ২ লাখ ২৬ হাজার ১৬৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। তবে বাস্তবায়নের গতি এর সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। অর্থবছরের প্রথম ১০ মাস—অর্থাৎ জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৯৩ হাজার ৪২৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। ফলে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বাকি দুই মাসে অতিরিক্ত ১ লাখ ৩২ হাজার ৭৪০ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয় করতে হবে, যা একপ্রকার অবাস্তব লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। কারণ, দুই মাসে সরকারের যেমন এত টাকা দেওয়ারও সামর্থ্য নেই, তেমনি খরচেরও সামর্থ্য নেই। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, জুলাই অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর অনেক ঠিকাদার পালিয়ে গেছেন। যার ফলে অনেক সাইটে কাজ হচ্ছে না, যার কারণে ধস নেমেছে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে।

সোমবার ১৯ মে পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল মাত্র ৪১.৩১ শতাংশ, যা ২০১৮-১৯ সালের পর সর্বনিম্ন। এ সময়ে অর্থছাড় হয়েছে ৯৩ হাজার ৪২৪ কোটি টাকা, যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে ছাড় হয়েছিল ১ লাখ ২৫ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। শুধু এপ্রিল মাসেই অর্থছাড় কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৫৩০ কোটি টাকায়, আগের বছরের এপ্রিলের তুলনায় যা প্রায় ৪০ শতাংশ কম। এই তথ্যে এডিপি বাস্তবায়নের গতি ও অর্থছাড়ে স্পষ্ট স্থবিরতার চিত্র উঠে এসেছে।

পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এডিপির অবশিষ্ট দুই মাসে বড়জোর ৫০ থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকার মতো ব্যয় সম্ভব—এর বেশি নয়। ফলে পুরো বরাদ্দের একটি বড় অংশ অপরিব্যয়িত থেকেই যাবে। তাঁদের মতে, শেষ মুহূর্তে তড়িঘড়ি করে ব্যয় বাড়ানোর চাপে প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে।

পরিকল্পনা বিভাগের সাবেক সচিব মামুন আল রশিদ জানিয়েছেন, অনেক প্রকল্পে কাজ শেষ হলেও বিল পরিশোধ আটকে আছে, কারণ সরকার এখন বিলগুলো যাচাই-বাছাই করে তবেই অর্থছাড় দিচ্ছে—যার ফলে ব্যয়ের গতি কম। তাঁর ভাষায়, কোনো বছরই বাজেটের পুরো অর্থ খরচ হয় না, তবে শেষ সময়ে তাড়াহুড়ো করে অর্থ ব্যয় করলে অপচয়, দুর্নীতি এবং গুণগত মানহানির ঝুঁকি বাড়ে। তাই তিনি মনে করেন, বিল যাচাই করে ধাপে ধাপে অর্থছাড় করাই হবে সুশাসনের দৃষ্টিকোণ থেকে সঠিক পথ।

ধীরগতির বিষয়ে বিএনপি নেতা, সংসদ সদস্য প্রার্থী, বিশ্লেষক, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রাত্তন কেন্দ্রীয় নেতা, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী জননেতা মাহবুব চৌধুরী বলেন, সরকার পারেনি উন্নয়নে কাজ করতে। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ক্যারিশমা দেখাতে পারেনি। অপচয় ও দুর্নীতি রোধ করে, গুনগত মান বজায় রেখে দ্রুত জনস্বার্থে কাজ করতে পারাটাই ছিল জুলাই আকাঙ্খা। শিক্ষা, চিকিৎসা, শিল্প, কৃষি, সংস্কৃতি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, সামাজিক নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন খাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ করণীয় ছিল। সরকার উদ্যোগ নিলেই পরিবর্তনের দৃষ্টান্ত স্থাপন সম্ভব ছিল। সংস্কার আগে না নির্বাচন আগে—এ বিতর্ক অপ্রয়োজনীয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই অনেক সংস্কার করতে পারে, কিন্তু বাস্তবে তা ঘটছে না। অনেক সংস্কার কমিশন গঠিত হলেও সুপারিশ বাস্তবায়নে অগ্রগতি নেই।

ধীরগতির বিষয়ে আইএমইডির সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, এডিপি বাস্তবায়ন হার কম হওয়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ঠিকমতো অর্থছাড় না হওয়া। কারণ, বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থছাড় কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে জোর দেওয়া হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান আশা করেন, আগামী বাজেট এলডিসি-উত্তর বাস্তবতা ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বিবেচনায় স্থিতিশীল বিনিয়োগ পরিবেশ গড়তে ভূমিকা রাখবে।

আগামী বাজেট বিষয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘এটি অর্থনৈতিক বাস্তবতা মেনে নেওয়ার একটি ইঙ্গিত, যা ভবিষ্যতে আর্থিক শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়ক হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর প্রকৃত চাহিদা না থাকায় এডিপি থেকে ৪৯ হাজার কোটি টাকা ছাঁটাই করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৬ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ রাখা হলেও ইতিহাস বলে এই অর্থ ব্যয় হয় না। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, এডিপি বাস্তবায়ন মূল পরিকল্পনার চেয়ে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা কম হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট