ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় ছিল কমিশন বাণিজ্যের কেন্দ্র। শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও তাদের ঘনিষ্ঠরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প থেকে কমিশন আদায় করে তা বিদেশে পাচার করেছে।
বিশেষ করে ওবায়দুল কাদের, শেখ সেলিম, শেখ হেলালসহ শেখ পরিবারের একাধিক সদস্য এসব দুর্নীতির প্রধান হোতা। মাত্র ১৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ১৩ বছরে সওজের ৯০ শতাংশ কাজ পেয়েছে, যার পেছনে ছিল রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা ও কমিশন নির্ধারিত নিয়ম। হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন ছাড়াও বড় অঙ্কের অর্থ সরাসরি লন্ডনে পাচার হয়েছে।
দুর্নীতির অভিযোগে পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে বিশ্বব্যাংক সরে দাঁড়ালেও ক্ষমতার ছত্রছায়ায় জড়িতরা পার পেয়ে যায়। দুর্নীতির তদন্তে বাধা এসেছে রাজনৈতিক প্রভাব, প্রশাসনিক সহায়তা এবং বিচার ব্যবস্থার ফাঁক-ফোকর থেকে। এসব সিন্ডিকেটের পেছনে শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত পিয়ন জাহাঙ্গীর আলমের মতো লোকও ছিল, যারা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে।
বিএনপি নেতা, সুনামগঞ্জ ২ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী, ছাত্রদলের প্রাত্তন কেন্দ্রীয় নেতা, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জননেতা মাহবুব চৌধুরী বলেন, এই ভয়াবহ লুটপাটের দায় থেকে শেখ পরিবার ও সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনা জরুরি। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় এই খাতের স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত ও সংস্কার প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন বিএনপির এই বিশ্লেষক নেতা।