1. live@bisshosangbad.com : বিশ্ব সংবাদ : বিশ্ব সংবাদ
  2. info@www.bisshosangbad.com : বিশ্ব সংবাদ :
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
দুবাইয়ে অর্থ পাচারকারী বাংলাদেশি ৭০ ভিআইপি শনাক্ত, কর নথি তলব। শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছর সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় ছিল কমিশন বাণিজ্যের কেন্দ্র। আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও ঘুষ দিতে হতো : দুদক চেয়ারম্যান। ঢাকায় ঝটিকা মিছিল থেকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার। ২ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করলেন নুর। লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন জামায়াত আমির। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে সন্তুষ্ট নয় বিএনপি। আজ পয়লা বৈশাখ, স্বাগত ১৪৩২। দেশব্যাপী হবে সরকারি ফার্মেসি, মিলবে স্বল্পমূল্যে ওষুধ। চাঁদা না পেয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ শিবিরকর্মীদের বিরুদ্ধে।

পাচারের অর্থে দুবাইয়ে অট্টালিকা বাপ বেটার।

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫
  • ৩৭ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্ট

সিলেটের ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ফকর ব্রাদার্সের দুই কর্ণধার। সম্পর্কে তাঁরা পিতা-পুত্র। তবে অর্থপাচারে তাঁরা একে অপরের সহযোগী। কয়লা ও পাথর আমদানির আড়ালে প্রথমে টাকা পাচার করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে।

পরে সেই টাকায় কিনেছেন লোভনীয় ‘গোল্ডেন ভিসা’। জুমেইরাহ ভিলেজ সিটিতে যৌথভাবে গড়েছেন ৩৩ তলার বিশাল অট্টালিকা। এর আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩৯৪ কোটি টাকা। এই সম্পদের প্রকৃত তথ্য আয়কর নথিতে গোপন করে কর ফাঁকিও দিয়েছেন অর্ধশত কোটি টাকা।

পাচারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা হলেন ফকর ব্রাদার্সের চেয়ারম্যান ফকর উদ্দিন আলী আহমেদ ও তাঁর ছেলে ফকরুস সালেহিন নাহিয়ান।
পাচারের অর্থে দুবাইয়ে অট্টালিকা!অনুসন্ধান বলছে, দুবাইয়ের জুমেইরাহ ভিলেজ সিটিতে (প্লট নং ৬৮১৬৪৮১) প্রায় ২৯ কাঠা জায়গার ওপর ৩৩ তলাবিশিষ্ট ‘সাফায়া ৩২’ নামের একটি ভবন নির্মাণ করে দার আল কারামা নামের একটি রিয়েল এস্টেট কম্পানি। যৌথ অংশিদারির ভিত্তিতে এই কম্পানির মালিকানায় আছেন ফকর উদ্দিন ও ফকরুস সালেহিন নাহিয়ান। এই ভবনে ২২৪টি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে, যার সিঙ্গল বেডরুমের একটি ফ্ল্যাটের দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা থেকে শুরু।

অর্থপাচারের প্রমাণ পাওয়ায় এরই মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) পিতা-পুত্রের কর ফাঁকি এবং দেশের সম্পদের তথ্য খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ফকর ব্রাদার্স সংশ্লিষ্ট ১৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে সিআইসির উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্তদল দুবাইয়ে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের অর্থপাচার অনুসন্ধানে যায়। ওই তদন্তদল ফকর ব্রাদার্সসহ শতাধিক ব্যক্তির অর্থপাচারের প্রমাণ পায়। এরই মধ্যে একাধিক ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।

সিআইসির তদন্ত অনুযায়ী, সম্পদ ও বিনিয়োগের তথ্য গোপন করে ফকর ব্রাদার্সের ফকর উদ্দিন আলী আহমেদ, ফালাহ উদ্দিন আলী আহমেদ, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, ফয়েজ হাসান ফেরদৌস, ফকরুস সালেহিন নাহিয়ান কর ফাঁকি দিয়েছেন। এই করদাতারা নিজ নামে পাথর ও কয়লা আমদানি করে তা তাঁদের অংশীদারি প্রতিষ্ঠানের আয়কর নথিতে ২০১৭-১৮ করবর্ষ থেকে প্রদর্শনের মাধ্যমে শুধু সারচার্জ এবং এসংক্রান্ত জরিমানা বাবদ ৫০ কোটি টাকার আয়কর ফাঁকি দিয়েছেন। এ ছাড়া আলোচ্য করদাতারা নিজ নামে একটি আবাসিক এলাকায় জমি ক্রয় এবং ওই জমিতে নির্মিত স্পোর্টস কমপ্লেক্স থেকে ভাড়া আয় গোপন করেছেন। পাশাপাশি গুলশানে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট এবং দামি গাড়ি ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রকৃত বিনিয়োগের তথ্য গোপনের মাধ্যমে আয়কর ফাঁকি দিয়েছেন। এ ছাড়া তাঁদের প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের নামে গুলশানে কমার্শিয়াল স্পেস ক্রয়ে প্রকৃত বিনিয়োগ গোপনের মাধ্যমে আয়কর ফাঁকি দিয়েছেন। এসংক্রান্ত আয়কর ও জরিমানা বাবদ আট কোটি টাকার আয়কর ফাঁকি দিয়েছেন তাঁরা।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফকর উদ্দিন আলী আহমেদ ও ফকরুস সালেহিন নাহিয়ান দুবাইয়ে (৩২ জেভিসি ডিস্ট্রিক্ট ১২ জুমেইরাহ ভিলেজ সার্কেল, আল বারসা) নির্মীয়মাণ একটি ৩৩ তলাবিশিষ্ট টাওয়ারে বিনিয়োগ করেছেন। সাফায় ৩২ নামের প্রকল্পটিতে স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট, এক বেডরুম, দুই বেডরুম ও তিন বেডরুম অ্যাপার্টমেন্ট মিলে সর্বমোট ২২৪টি অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি করা হচ্ছে। এই ভবনে কমন স্পেস, জিম, সুইমিংপুলসহ নাগরিক সব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এই প্রকল্পে বিনিয়োগের তথ্য তাঁদের কর নথিতে দেখানো হয়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক বলেন, ‘অর্থপাচারের সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ফকর ব্রাদার্সের কর ফাঁকি অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে কর ফাঁকির প্রমাণও পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানের হাত থেকে বাঁচতে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো এবং ছলচাতুরীর আশ্রয় নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রতিষ্ঠানের কর ফাঁকির অনসুন্ধান বন্ধ করতে বিভিন্ন স্তর থেকে প্রভাবশালীরাও তদবির করেছেন।’

আয়কর আইনে বাংলাদেশি করদাতাদের বিদেশে রক্ষিত সম্পদ রিটার্নে দেখানোর বাধ্যবাধকতা আছে। যদি রিটার্নে সম্পদ দেখানো না হয় তাহলে জরিমানার বিধান রয়েছে। আয়কর আইনের ২১ ধারা অনুযায়ী, কোনো বাংলাদেশি করদাতার রিটার্নে অপ্রদর্শিত বিদেশে থাকা সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গেলে এবং সম্পত্তি অর্জনের উৎস বা প্রকৃতি সম্পর্কে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা উপস্থাপনে তিনি ব্যর্থ হলে অথবা ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে ওই সম্পত্তির বাজারমূল্যের সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা আদায় করবেন উপকর কমিশনার।

তবে জরিমানা আরোপের ক্ষেত্রে করদাতাকে যুক্তিসংগত শুনানির সুযোগ দিতে হবে। জরিমানার টাকা করদাতার কোনো পরিসম্পদ বা করদাতার পক্ষে অন্য কেউ কোনো পরিসম্পদ অর্জন করলে তা বিক্রি বা বাজেয়াপ্ত করে আদায় করা যাবে। বিদেশে থাকা সম্পত্তির বিষয়ে দেশে ও বিদেশে অনুসন্ধান ও তদন্ত করা যাবে। প্রয়োজনে বিদেশে গিয়ে অনুসন্ধানকারীরা সম্পত্তি ও সম্পত্তির এলাকা চিহ্নিতকরণ এবং মূল্য নির্ধারণ করতে পারবেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট