স্টাফ রিপোর্ট।
ড, ইউনুস সরকারের চলমান সংস্কার কর্মসূচীর বিভিন্ন দিক নিয়ে এই প্রতিবেদককে জননেতা মাহবুব চৌধুরী বলেন,
বৃটিশ লুটপাট করে যাওয়ার পরও বাংলার অবস্থা খারাপ থাকতো না। যদি আমরা নিজেরাই নিজেদের সাথে চুরি আর লুট-পাট না করতাম। দুঃখের বিষয় হলো, এই লুট-পাট করছে সনদধারীরা। লুট-পাট করছে নামধারী শিক্ষিতরা। লুট-পাট করছে মানুষের সাথে ওয়াদাবদ্ধ হয়ে চেয়ারে বসা লোকগুলো।
যে সমাজব্যবস্থা শিক্ষিতদের চোর বানায়, তার সংস্কার বেশি জরুরি। সেটার রিফর্মেশন ছাড়া মুক্তি অসম্ভব।
বাংলাদেশ গরিব হওয়ার কথা ছিলো না। বাংলাদেশ গরিব ছিলো না। পূর্ব বাংলা কিংবা সমগ্র বাংলা, আদৌ গরিব ছিলো না। সাতশ বছর আগে ইবনে বতুতা এই বাংলায় এসেছিলেন। দেখেছেন সম্পদে ভরা এক রাজ্য। তার লেখা থেকে পাওয়া যায়—তখন এক মন ধানের দাম ছিলো তিন পয়সা। এক মন চালের দাম ছিলো এগারো পয়সা। এক মন চিনি পাওয়া যেতো দেড় পয়সায়।
এই অঞ্চলে তখন যে পরিমান ধান-গম-চিনি-তেল-রেশম হতো, ইউরোপ-আমেরিকায়ও তত পণ্য হতো না। তখন খাদ্যে যারা ধনী ছিলো, তারাই ধনী।
সতের শতকে, শায়েস্তা খাঁ’র আমলের কথাই বলি। টাকায় আট মন চাল পাওয়া যেতো। ইবনে বতুতার দেয়া হিসেব, প্রায় চারশ বছরেও তেমন পরিবর্তিত হয়নি। চারশ বছরে ইনফ্লেইশন হয়নি! ভাবা যায়!
বিতাড়িত হাসিনা রেজিমে ২৮ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। অর্থনীতির ওপর শ্বেতপত্র প্রকাশের জন্য গঠিত দেবপ্রিয় কমিটির রিপোর্টে এ হিসেব দেওয়া হয়েছে। এ টাকা এই গরীব দেশটাকে লুণ্ঠন করে নেওয়া। মানুষের ওপর করের এবং বিদেশী ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে এ টাকা ওরা লুট করেছে।
আর সব বাদ দিলেও এই নিষ্ঠুর দেশ-লুণ্ঠনের অপরাধে হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী বর্গীদেরকে দেশদ্রোহের সাজা দেওয়া অপরিহার্য। এতো লুটপাট কখনো দেখেনি কেউ!
এই প্রতিবেদককে বলছিলেন বিএনপি নেতা, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রাত্তন কেন্দ্রীয় নেতা, ৯০’ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন থেকে ২০২৪ এর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র গনআন্দোলন সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সংগ্রাামী সাংগঠনিক সম্পাদক, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল অভিভাবক এসোসিয়েশনের সভাপতি, সুনামগঞ্জ ২ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী জননেতা মাহবুব চৌধুরী।