মোঃ এরশাদ আলী, লংগদু (রাঙ্গামাটি)।
রাঙ্গামাটির প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বনরূপা জামে মসজিদে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের ভাংচুরের প্রতিবাদে লংগদু উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ থেকে বাদ জুমা বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।
২০ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) পবিত্র জুমার নামাজ শেষে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় উপজেলার মাইনীমূখ বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, বাইট্টাপাড়া জামে মসজিদ, মধ্যম বাইট্টাপাড়া আহলে সুন্নাহ জামে মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
এতে এলাকার ধর্মপ্রান মুসুল্লিগণ অংশ গ্রহন করেন।
এসময় বিক্ষুব্ধ মুসুল্লিরা বলেন, মসজিদ আমাদের সবচেয়ে বড় ইবাদতের জায়গা, পবিত্র স্থান, এখানে আঘাত করার মানে ধর্মের উপর আঘাত এটা কোন ধর্মপ্রাণ মুসলমান মেনে নিতে পারে না, প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও এই পবিত্র ঘর রক্ষা করা হবে। বক্তারা আরো বলেন, এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার না হলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য যে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ির পাংখুয়া পাড়ায় এক বাঙালি যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে উপজাতি সন্ত্রাসীরা, এর প্রতিবাদে গতকাল জেলার দীঘিনালা উপজেলায় বাঙালিরা প্রতিবাদ মিছিল বের করলে উপজাতিরা ক্ষিপ্ত হয়ে বাঙালিদের মিছিলে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করায় সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে দীঘিনালার লারমা স্কয়ারে বেশ কয়েকটি দোকান পাটে অগ্নি সংযোগ করে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা পরে সেনাবাহিনী গিয়ে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনেন। সেই দীঘিনালার ঘটনাকে কেন্দ্র করেই গতরাতে খাগড়াছড়ির জেলা সদরসহ বেশ কয়েকটি উপজেলায় এবং আজ রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল করে উপজাতীয়রা সন্ত্রাসীরা। সেই মিছিল থেকেই বনরূপা জামে মসজিদে হামলা চালানো হয় এবং কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা ও রাঙ্গামাটি সদর উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
এদিকে হঠাৎ করেই পার্বত্য চট্টগ্রামে এমন ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির জন্য ৫ আগস্ট পরাজিত স্বৈরাচার সরকারের দোসরদের চক্রান্ত বলে ধারণা করছেন সুশীল সমাজ। তারা উপজাতি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের স্বৈরাচারের দোসরদের চক্রান্তে না জড়িয়ে বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতার জন্য আহবান জনান।