স্টাফ রিপোর্ট।
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্ক্রারের যৌক্তিকতায় ও গণহত্যার বিচারে ইতোমধ্যে দেশের নাগরিক সমাজ, আইনজীবী, শিক্ষক সমাজ, শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা মাঠে নেমেছে। বিএনপি ত দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগের কথা বলেই আসছে। এরকম গণহত্যা চালানোর পরে সরকার ক্ষমতায় থাকার কোন নৈতিকতা থাকেন।
আন্দোলনের লিগ্যাসি বহন করায় ২০২৪ সালের কোটা আন্দোলনে ও সংহতি ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছি। এখানে আমাদের কোনো অপরাধ নেই। বরং কোটা পুনর্বহালের অপচেষ্টা ও ছাত্রসমাজের যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে টালবাহানা করায় চলমান সংকট শুরু হয়েছে।
আমাকে তুলে নেওয়ার জন্য পুলিশ ও সাদাপোশাকধারীরা আমার বাসা ও এলাকায় গত ২২, ২৪ ও ২৯ জুলাই ৩ দফা অভিযান চালিয়েছে। আমার ছবি দেখিয়ে তন্নতন্ন করে খোঁজা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা, ছাত্রদলের প্রাত্তন কেন্দ্রীয় নেতা, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সংগ্রামী সাংগঠনিক সম্পাদক জননেতা মাহবুব চৌধুরী।
আজ শনিবার এই প্রতিবেদক সিলেট নগরীর খাসদবীরস্হ তার বাসায় যান, এসময় তার স্ত্রী মিসেস মনোয়ারা আক্তার পুলিশের অভিযানের বিস্তারিত প্রমানাদি তুলে ধরে বলেন এতে আমরা ভীত নয়, ছাত্র জনতার এই লড়াইয়ে আমরা আরো যেকোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত, অসংখ্য নেতা কর্মি ও শিক্ষার্থীদের বাসা বাড়িতে এই নিষ্ঠুরতা চালাচ্ছে, কৌশলগত কারণে তিনি বাসা থাকছেননা, প্রতিনিয়ত এই সমস্ত মিথ্যা মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে হয়, ১৪/১৫ সালের অবরোধ আন্দোলনে ও তিনি দীর্ঘ ৪ মাস জেল খেটেছেন।
স্হানীয় দোকানদার মামুন জানান ২২ তারিখ রাত সাড়ে এগারটায় প্রথম পুলিশ তার বাসায় তল্লাশি চালায় এবং এ এলাকা থেকে সাইদ নামে একজনকে ধরেও নিয়ে যায়। এখনও তাকে ধরতে সমস্ত এলাকায় একটা ভীতিকর পরিবেশ তৈরী করে রেখেছে পুলিশ। শিক্ষা বিস্তারে তার কর্মযজ্ঞ থাকায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষক এবং অভিভাবকদের সাথে তার ভাল যোগাযোগ থাকায় পুলিশ বেশি সিরিয়াস আমার মনে হয়। তবে উনাকে বাসায় পায়নি।
প্রতিবেশী চাকরিজীবি সালেহা জানান, তিনিত বিএনপির একজন নিবেদিত মানুষ এর বাহিরেত তার নামে কোন অভিযোগ নেই, মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা ও করেন, সুনাম রয়েছে, তার এলাকায় তিনি সংসদ সদস্য প্রার্থীও, সম্মানিত ব্যাক্তি। এমন মানুষের পিছনে কেনো লেগেছে সরকার, বুঝেনত দেশের বর্তমান অবস্থা।