স্টাফ রিপোর্ট।
সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গত কয়েকদিনে রাজধানী থেকে শুরু করে এই আন্দোলনের দাবি ছড়িয়ে পড়েছে জেলা পর্যায় পর্যন্ত। এই পদ্ধতি নিয়ে অনেকেই নিজের মতামত দিচ্ছেন।
আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) কোটা সিস্টেম বাতিলের পক্ষে নিজের অভিমত তুলে ধরেছেন বিএনপি নেতা, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রাত্তন কেন্দ্রীয় নেতা, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সংগ্রামী সাংগঠনিক সম্পাদক জননেতা মাহবুব চৌধুরী।
মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বারবার বলা হচ্ছে কেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৩ বছর। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা নিজ ম্যারিটের গুণে তারা ভর্তি হবে পরীক্ষা দেবে এবং চাকরিতেও ইন্টারভিউ দেবে। কোটা সিস্টেমে চাকরি এবং ভর্তি হতে হবে এটা মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করার শামিল। এই ধরনের সুযোগ দিয়ে তার সন্তানদেরকেও সম্মান দেখানো একটা অপচেষ্টা মাত্র। সর্বস্তরে এই কোটা সিস্টেম বাতিল করা হোক এটা দেশের সকলের দাবি। কোটাব্যাবস্হা পূর্ণবহাল মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাথে প্রহসন। মেধার ভিত্তিতে চাকরি চাওয়া কি অপরাধ?একটি মেধাবী গোষ্ঠী রাষ্ট্র পরিচালনা করবে এটাই গোটা পৃথিবীর নীতি। কিন্তু শেখ হাসিনা সেই প্রক্রিয়াটি নষ্ট করেছেন আদালতকে দিয়ে। আদালতের রায় সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন। শেখ হাসিনার মনে ক্ষোভ রয়ে গেছে। যেমন তিনি ক্ষোভের কারণে খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দি করে রেখেছেন।
আন্দোলন-সংগ্রামের ভবিষ্যৎ সফলতা অবধারিত। এ ব্যাপারে আমার কোনো দ্বিধা নেই। দেশের সব শিক্ষার্থী তাদের অধিকারের বিষয়ে সোচ্চার হয়েছে। আশা করছি, চলমান আন্দোলনে শতভাগ সফল হবে। রাজনীতি আমাদের সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে। অপরাজনীতির কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীদের অকালে জীবন হারাতে হয়। অপসংস্কৃতির চর্চা হয়। প্রতিভার বিকাশ হয় না। সবকিছু রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দেশে যখন একটি ফ্যাসিবাদী সরকার থাকে তখন তার পতন ঘটানো সর্বপ্রথম কাজ। ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটানোর পর জনগণের ভোটে যে সরকার গঠন হয়, সেই সরকারের সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কাজ করে। কোটাব্যবস্হা বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আমরা মাঠ রয়েছি। কাজ করছি। একই সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে ও বিএনপি একাত্মতা ঘোষণা করেছে।