প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৪।
পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার ও তার গুলশানের সরকারি বাড়ি। ছবি: সংগৃহীত
পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এডিশনাল আইজিপি) ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। শুধু শামসুদ্দোহা একা নন, তার স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানারও রয়েছে বিপুল পরিমাণ সম্পদ।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বলছে, এ দম্পতি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বিপুল সম্পদের মালিক। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১ হাজার ২৭ শতক জমি আছে তাদের নামে। দলিলে এসব জমির দাম ৭০ কোটি টাকা দেখানো হলেও আদতে বাজারদর প্রায় ৫০০ কোটি টাকার বেশি হবে। গত ১৮ মার্চ আদালত তার এসব সম্পত্তি জব্দ করার আদেশ দেয়। পরদিন তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করলে ঐ আদেশ স্থগিত হয়ে যায়।
রাজধানীর গুলশানে অন্তত ২০০ কোটি টাকা দামের সরকারি জমি ও বাড়ি নিজের করে নিতে নানা ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছেন। শামসুদ্দোহা ২০১১ সালে প্রেষণে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান পদে বসেন। ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ঐ মামলায় স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানাও আসামি। মামলাটি এখনো চলমান। এ ছাড়া তার রয়েছে হরেক রকমের ব্যবসা-বাণিজ্য। তিনি ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির মালিকদের অন্যতম একজন। ২০২১-২২ সালের পরিষদে শামসুদ্দোহা ছিলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান।
জানা গেছে, তার এক মেয়ে ও ছোট ছেলে কানাডায় পড়াশোনা করে। বেনজীরকাণ্ড নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ওঠার পর, পরিবার নিয়ে কানাডা বেড়াতে গেছেন তিনি।