স্টাফ রিপোর্ট।
কথায় বলে “মানির মান স্বয়ং আল্লাহই রাখেন”। আওয়ামী ফ্যাসিষ্টদের মিথ্যা এবং কদর্য প্রচারণা সত্ত্বেও দেশের বেশীরভাগ জনগণ তাঁকে মনে রেখেছেন অন্য সব নেতার চাইতে বেশীই। প্রোপাগান্ডা ব্যতিরেকেই শহীদ জিয়া এখনো বাংলাদেশের জনগণের অবিসংবাদিত অবিস্মরণীয় নেতাই আছেন- নিঃসন্দেহে তা তিনি সাহস, মেধা এবং সততা দিয়েই অর্জন করেছিলেন।
একইসাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-গণতন্ত্র-উন্নয়ন এই ত্রয়ী ক্ষেত্রেই যে নেতার অবদান অসাধারণ এবং অতুলনীয় তিনিই হলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। আজীবন তিনি ছিলেন সৈনিক। দেশমাতৃকার প্রয়োজনে তিনি অকুতোভয় সৈনিক হিসাবে স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ঘোষণাই সর্বস্ব নয়, তিনি নিজ হাতে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীনতাও এনে দিয়েছিলেন, অনেকের মতো পালিয়ে যাননি। আবার স্বাধীন দেশে যখন আওয়ামী জাহেলিয়াত কর্তৃক একদলীয় শাসন ‘বাকশাল’ কায়েম হয়েছিল; তখন ভাগ্যের বরপুত্র শহীদ জিয়াই গণতন্ত্রের সৈনিক হিসাবে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করেছিলেন। পরবর্তীতে দেশের উন্নয়নের কান্ডারি হিসাবে তিনি আবির্ভূত হন। উন্নয়নের অনেক কিছুই তাঁর হাত ধরেই শুরু হয়। মাত্র সাড়ে তিন বছর তাঁর শাসনকাল ছিলো বাংলাদেশের স্বর্ণযুগ। শহীদ জিয়ার সর্বোত্তম অবদান হলো বাংলাদেশের জনগণকে স্বতন্ত্র পরিচয় দেয়া। নিঃসন্দেহে তিনিই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের জাতির প্রবক্তা। আসুন আমরা এই মহান নেতাকে সর্বতোভাবে অনুসরণ করি। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান হিসেবে কবুল করুন। আমীন।
লিখেছেন, জননেতা মাহবুব চৌধুরী, বিএনপি নেতা, ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের বীর সেনানী, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রাত্তন কেন্দ্রীয় নেতা, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সংগ্রামী সাংগঠনিক সম্পাদক।