স্টাফ রিপোর্ট
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বাদ রেখে দলীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কিনা ভাবছে বিএনপি।
বুধবার রাতে বেসরকারি টিভি চ্যানেল ডিবিসিতে নাজনীন মুন্নীর উপস্থাপনায় টকশো রাজকাহনে এমনটাই জানালেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
তারেক রহমান বাইরে আছেন, মামলায় তার শাস্তি হয়েছে এবং খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থাও খারাপ। এই দু’জনকে বাদ রেখে কিভাবে দ্রুত দলীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় অথবা অন্য সমাধান আছে কিনা- নাজনীন মুন্নীর এমন প্রশ্নের জবাবে আলাল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি কিনা- সেই বিকল্প চিন্তা আমাদের মধ্যে আছে। আরেকটা বিষয়, আমরা চাচ্ছি নির্বাচনের সময় যেসব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান মূল দায়িত্ব পালন করে সেই জায়গাটাতে নিউট্রাল করার জন্য একটা প্রেসার সৃষ্টি করা যায় কিনা। যদি প্রেসার সৃষ্টি করা যায় তাহলে এই জিনিসটাকে একত্রে মেলাতে পারলে অদূর ভবিষ্যতে খুব ভালো ফলাফল দেখতে পাবো।
আলাল আরও জানান, প্রয়োজনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে একটি কমিটি বা বডি বাছাই করা হবে যারা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিবে। বিষয়টিকে আরও পরিষ্কার করে তুলে ধারার জন্য আলাল বলেন, এরকম কমিটি বা বডির চিন্তা-ভাবনা আছে। হয়তো ওই দুইজনের (খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান) পক্ষ থেকেই বলা হতে পারে- চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে অপশন এ-বি-সি থাকবে।
তবে তার এ বক্তব্যে বিএনপির অনেকেই দ্বিমত পোষন করেছেন। বলেছেন যারা এমন ভাবনা নিয়ে হাটেন তারা ষড়যন্ত্রকারী, দোসর।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রাত্তন কেন্দ্রীয় নেতা, ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের বীর সেনানী, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, সিলেট মহানগর বিএনপির সদ্য সাবেক আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সংগ্রামী সাংগঠনিক সম্পাদক জননেতা মাহবুব চৌধুরী বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার মাঝে ও তাকে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানকে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেক্রে মাইনাস করতে চান তারা আর যাই হউক পার্টির ভালো চায়না। আলাল আর দুলাল বলেন আর খোকন বলেন দলের ভিতরে দোসরদের কোন ষড়যন্ত্রই সফল হবেনা, হতে দেয়া হবেনা, প্রতিহত করা হবে। তিনি টেলিভিশনের টকশোতে কি বলেছেন আমি দেখিনি, দেখে শুনে বিস্তারিত বলতে হবে। শুধু দল কেন অন্যান্য দল ও দেশের বিভিন্ন বিষয়ে এবং আন্দোলনে সিদ্ধান্ত ত আটকে থাকেনি। চেয়ারম্যানের বিচক্ষন সিদ্ধান্ত হয় বলেইত সরকার নানা ষড়যন্ত্র করেও বিএনপির কোন ক্ষতি করতে পারেনি। আওয়ামীলীগ সরকারে থেকে ও হেরে গেছে।