স্টাফ রিপোর্ট
পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়েছে ১২ দলীয় জোটের ডাকা বিক্ষোভ মিছিল। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জোটটির ডাকা বিক্ষোভ মিছিলের পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশের জন্য দাঁড়ালে বাধা দেয় পুলিশ। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে বয়কট ইন্ডিয়া শিরোনামে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল জোটটি।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, ১২ দলীয় জোটের বিক্ষোভ মিছিলের পূর্ব প্রস্তুতি জন্য সংক্ষিপ্ত সমাবেশে করতে নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের ব্যানার কেড়ে নেয়। এ সময় পুলিশেরসঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন নেতারা।এরপর নেতারা সেখান থেকে চলে এসে ঝটিকা মিছিল করে করে। মিছিলটি প্রেসক্লাবের অপর পার্শ্বের সড়ক দিয়ে পল্টনমুখী হলে মেহের প্লাজায় এসে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা মিছিলে পুলিশ বাধা ও লাঠিচার্জ করেছে এমন অভিযোগ করে বলেন, ‘একটি বাকশাল রাষ্ট্র কায়েম করেছে সরকার। কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে বাধা দিয়েছে সরকার। সরকারের পুলিশ বাহিনী আমাদের বিক্ষোভের ফেস্টুন কেড়ে নিয়েছে। আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী ছবি তুলতে গেলে তাদের ফোন কেড়ে নেয়।’এমনকি বাধার মুখে চলে আসার সময় পেছনের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি বয়কট ইন্ডিয়া আন্দোলন চলমান আছে এবং এই আন্দোলন চলবে উল্লেখ করে সৈয়দ এহেসানুল হুদা বলেন, ‘পৃথিবীর যেকোনো রাষ্ট্রে আমরা দেখেছি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশ প্রেমিক জনগণ প্রতিবাদে সোচ্চার থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে দিল্লির তাবেদার সরকার মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে।’ দেশের আপামর জনগণকে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান তিনি।
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, ‘১২ দলীয় জোটের আন্দোলন চলছে। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’
জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন বলেন, ‘আজকে আমরা বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের ব্যানার ছিনিয়ে নিয়েছে, হুমকি দিয়েছে। আজকে মানুষের কথা বলার কোনো অধিকার নেই। এভাবে একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না।’
এই কর্মসূচিতে আরও অংশ নেন- ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির একাংশের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ এলডিপির মো. ফরিদ উদ্দিন, আব্দুল হাই নোমান, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।