স্টাফ রিপোর্ট।
আমি কি ভূলিতে পারি ——– লিখেছেন জননেতা মাহবুব চৌধুরী।
আজ মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসও। ২১ শে ফেব্রুয়ারী আমাদের জাতীয় জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন। বায়ান্ন সালের ২১’শের পথ ধরেই এদেশের সকল গণতান্ত্রিক এবং স্বাধীকারের সংগ্রাম সম্প্রসারিত হয়ে অর্জিত হয়েছে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা। সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাষা বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষার সরকারী স্বীকৃতি না দিয়ে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এদেশের উপর নিজেদের সাংস্কৃতিক আধিপত্য বজায় রাখতে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। দেশ স্বাধীন হলেও ভিন্ন মাত্রায় শাসকগোষ্ঠী এদেশের উপর সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক আধিপত্য কায়েম করে জাতি হিসেবে আমাদেরকে নতজানু করে রাখতে নানা কারসাজী চালিয়ে যাচ্ছে। দূর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশের বর্তমান ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী এদেশের স্বাধীনতা এবং অন্যান্য অর্জনের মতো ২১’ফেব্রুয়ারীকেও ইতিহাস বিকৃতি এবং জোরজবরদস্তির মাধ্যমে নিজেদের একক অর্জন হিসাবে প্রচার প্রোপাগাণ্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রমাণ এবং মানদণ্ডের কষ্টিপাথরে সেই প্রোপাগাণ্ডা তাদের অবস্থানকে আরো প্রশ্নবিদ্ধ এবং হাস্যকর করেই যাচ্ছে।
আর এইজন্যই এখন মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে আবারো একদলীয় দু:শাসনের শৃঙ্খলে দেশের মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে। গণতন্ত্রকে আরও কঠিনভাবে লৌহ শৃঙ্খলে বন্ধ করে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে এদেশের বারবার বহুদলীয় গণতন্ত্রের মুক্তির দিশারী বেগম খালেদা জিয়াকে।
এই দু:সময়ে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে আমাদের প্রেরণা যোগাবে ৫২’র মহান একুশে’র শহীদদের আত্মদান। ২০২৪ এর ২১ ফেব্রোয়ারী হউক আওয়ামী দুঃশাসনের পতনের বছর।
জননেতা মাহবুব চৌধুরী, বিএনপি নেতা, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সংগ্রামী সাংগঠনিক সম্পাদক, ছাত্রদলের প্রাত্তন কেন্দ্রীয় নেতা, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী।